Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নীলফামারী জোন

নীলফামারী জোন
নীলসাগর দিঘি

নীলফামারী সদর উপজেলা গোড়গ্রাম ইউনিয়নে এ বিশাল দিঘিটি অবস্থিত। জেলাশহর থেকে এর দূরুত্ব ১৫ কিঃমিঃ। কথিত আছে, রাজা বিরাট কয়েক শত বছর পূর্বে এ দিঘি খনন করেন। রাজা বিরাটের সময় গোড়গ্রামে ছিল অসংখ্য গরুর আস্তানা। গরুকে পানি খাওয়ানোর জন্য অষ্টম শতাব্দীতে তিনি এ দিঘি খনন করেন বলে জনশ্রুতি আছে। তখন এর নাম ছিল বিরাট দিঘি বা বিন্না দিঘি। স্বাধীনতার পর এর নাম পাল্টে হয় নীলসাগর। নীলসাগরের আয়তন ৫৪ একর। দিঘির পাড়ে অনেক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে। আগত অতিথিদের বিশ্রামের জন্য এখানে একটি রেস্টহাউস রয়েছে। এছাড়া পার্কিং সুবিধা, পিকনিক শেড, শিশুদের বিনোদনের জন্য স্লিপার ও দোলনা রয়েছে। এ দিঘিতে শীতকালে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন এবং কলকাকলিতে এই এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। দূরদূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক পাখি পর্যবেক্ষণ ও আনন্দ বিহারে এখানে আসেন। এখানে জেলা পরিষদের একটি অতিথিশালা আছে। সম্প্রতি সরকার এখানে একটি জাদুঘর স্থাপন করেছে।

প্রবেশের সময় সূচী ঃ প্রতিদিন সকাল ০৯ ঘটিকা হতে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

প্রবেশ ফি ঃ  জন প্রতি-২০, মোটরসাইকেল-৫০, বাস ও মাইক্রোবাস-২০০, পিকনিক শেড-২০০০ টাকা, মাছ শিকার  প্রতি আসন- ২০০০ টাকা

নীলসাগর দিঘীর তত্ত্ববধায়ক মোঃ রুবেল ইসলাম, রেস্ট হাউজের কেয়ারটেকার মোবাইল-০১৭৬০৯৫৬১৮৭

কিভাবে যাবেন

ঢাকা হতে সরাসরি ট্রেনে এবং বাস হানিফ পরিবহন  (মোঃ রাসেল ০১৭৩৮৫৫২২৭৫), নাবিল পরিবহন  (মোঃ মতিয়ার ০১৭১২২০৪১৮৭), শ্যামলী পরিবহন (মোঃ হিমেল ০১৭৬২৩১২১৪১) নাদের পরিবহন (মোঃ ফারুক হোসেন ০১৭২৯৫৯৯১১৩) যোগে নীলফমারী শহরে যাওয়া যায়। নীলফামারী হতে লোকাল বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়। 

কোথায় থাকবেন
নাভানা গেস্ট হাউজ, নীলফামারী সদর (মোঃ মজনু ০১৩০৮১৮৬৬০৫), নীলফামারী গার্ডেন ( মোঃ সুভ ০১৭৯৩৮৩৮৪৮৫), আর রহমান, (মোঃ রফিক ০১৭৯৩৮৩৮৪৮৫), হোটেল অবকাস (মোঃ বিপ্লব ০১৭৩৩৫১৮৭৫২)


চিনি মসজিদ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন। সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চীনামাটির নয়াভিরাম কারুকার্যে শোভিত মসজিদটি দেখতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা প্রতিনিয়ত এসে থাকেন। ইতিহাস থেকে জানা, যায়, উপমহাদেশের সুফি সাধকদের প্রভাবে মুসলিম শাসন ও মোগল আমলে বহু মসজিদ গড়ে ওঠে। ধর্ম প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি মুসলিম সাধকরা শিল্প-সুষমামন্ডিত অসংখ্য মসজিদ তৈরি করেন। এমনি একটি মসজিদ সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগে ১৮৬৩ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ। প্রথমে এটি একটি দোচালা টিনের ঘর ছিল। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ইমাম হাজি হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদের পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। এর নকশা তৈরি করেন হাজি করিম নিজেই। ১৯৬৫ সালে এর দ্বিতীয় অংশটিরও নিমার্ণকাজ শেষ হয়। এ সময় কলকাতা থেকে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর এনে মসজিদে লাগানো হয়। ১৯২২ সালে মসজিদের সম্পূর্ণ অংশ চীনামাটির টুকরা দিয়ে আবৃত করতে বগুড়ার একটি চিনামাটি ফ্যাক্টরি ২৫ মেট্রিক টন চীনামাটির পাথর দান করে। এই পাথরেই মোড়ানো হয় মসজিদের ৪৫টি মিনারসহ ০৪টি বড় গম্বুজ নির্মিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক রয়েছে। পোরসেলিন ও সিলাডনের টুকরা দিয়ে মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয়। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইক, দেয়ালজুড়ে চীনামাটির পাথরেই আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের পুরো অংশ চীনামাটি দিয়ে তৈরি বলে এর নাম হয় চিনি মসজিদ। মসজিদকে ঘিরে আছে নানা কাহিনি। এর অনন্য নকশা আর স্থাপত্যশৈলীর কারণে এটি আকৃষ্ট করেছে শিল্প বা স্থাপত্য সমঝদারদেরকেও। দৃষ্টি মনোহর ও ঐতিহ্যমন্ডিত মসজিদটির দ্বিতীয়তলায় পর্যটকদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সময়ে দুজন বিদেশি রাষ্টপ্রধানও পরির্শন করেছেন এ মসজিদ। মসজিদটি এরই মধ্যে ডানদিকের কিছুটা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ধর্মানুরাগী আবদুল করিম মসজিদ ছাড়াও এলাকায় নির্মাণ করেন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। নিঃসন্দেহে চিনি মসজিদ এ অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রবেশ ফি ঃ  সবার জন্য উন্মুক্ত
কিভাবে যাবেন
 
ঢাকা হতে সরাসরি ট্রেনে এবং বাস হানিফ পরিবহন  (মোঃ রাসেল ০১৭৩৮৫৫২২৭৫), নাবিল পরিবহন  (মোঃ মতিয়ার ০১৭১২২০৪১৮৭), শ্যামলী পরিবহন (মোঃ হিমেল ০১৭৬২৩১২১৪১) নাদের পরিবহন (মোঃ ফারুক হোসেন ০১৭২৯৫৯৯১১৩) যোগে সৈয়দপুর শহরে যাওয়া যায়। বাস টার্মিনাল হতে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।

চিনি মসজিদ নিয়ন্ত্রনকারী ঃ  সভাপতি জনাব মোঃ আকবর চৌধুরী ভুলু-০১৩১৩৩০৩৩৪৮, সেক্রেটারী জনাব ডাঃ ফজলু রহমান ০১৭১৯-৫৪৭৯২৭
কোথায় থাকবেন 
ইকো হেরিটেজ (রিসোর্ট), সৈয়দপুর (তৌহিদুর মোবাইল-০১৭৪৪৯৮৩১২৭), রজনী গন্ধা (মশিউর রহমান ০১৭৬০৫৫২৮৯৪), হোটেল ফাইভষ্টার (ইবনে হালিদ মোবাইল- ০১৭২৫৯৩১৭৩৩),
প্রিমিয়ার হোটেল সৈয়দপুর (রিপন-০১৭০৬৮৩৩২৭৮)
 
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

নীলফামারী শহর থেকে ২৫ কিঃমিঃ দূরে সৈয়দপুর উপজেলা শহরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা অবস্থিত। সৈয়দপুর শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল আসাম বেঙ্গল রেলওয়েকে ঘিরে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার রেলওয়ের যাবতীয় নির্মাণ ও মেরামত কাজের জন্য এখানে ১১০ একরের ওপর কারখানাটি নির্মাণ করে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে অবস্থিত হওয়ার কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে শহর বলা। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) হেডকোয়ার্টার্সও সৈয়দপুরে অবস্থিত। ফলে নানা দিক দিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনটি এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে পরিগণিত। এ রেলওয়ে স্টেশনটি ১৯৩০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস এবং রাজশাহীগামী আন্তঃনগর বরেন্দ্র ও তিতুমীর এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি মেইল ও লোকাল ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে। সম্প্রতি যাত্রী সেবার মান বাড়াতে স্টেশনের পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হয়। নবনির্মিত স্টেশন ভবনে সুপরিসর বিশ্রাম রুমসহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রেলকারখানার অভ্যন্তরে রেল যাদুঘর রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা হতে সরাসরি ট্রেনে এবং বাস হানিফ পরিবহন  (মোঃ রাসেল ০১৭৩৮৫৫২২৭৫), নাবিল পরিবহন  (মোঃ মতিয়ার ০১৭১২২০৪১৮৭), শ্যামলী পরিবহন (মোঃ হিমেল ০১৭৬২৩১২১৪১) নাদের পরিবহন (মোঃ ফারুক হোসেন ০১৭২৯৫৯৯১১৩) যোগে সৈয়দপুর শহরে যাওয়া যায়। বাস টার্মিনাল হতে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।

ভিতরে প্রবেশের নিয়ম ঃ বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস)- এর অনুমতিক্রমে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষ- জনাব মোঃ সাদেকুর রহমান, বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস)-মোবাইল-০১৭১১-৫০৬১৩৪
কোথায় থাকবেন 
ইকো হেরিটেজ (রিসোর্ট), সৈয়দপুর (তৌহিদুর মোবাইল-০১৭৪৪৯৮৩১২৭), রজনী গন্ধা (মশিউর রহমান ০১৭৬০৫৫২৮৯৪), হোটেল ফাইভষ্টার (ইবনে হালিদ মোবাইল- ০১৭২৫৯৩১৭৩৩),
প্রিমিয়ার হোটেল সৈয়দপুর (রিপন-০১৭০৬৮৩৩২৭৮